Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

উপকূলীয় অঞ্চলে ফলচাষ

মৃত্যুঞ্জয় রায়
বাংলাদেশের দক্ষিণে সাগর সংলগ্ন অঞ্চলকে বলা হয় উপক‚লীয় অঞ্চল। এ দেশের আয়তনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূমি এই এলাকায়। মোট আবাদি জমির প্রায় ৩০ শতাংশ রয়েছে উপক‚লীয় অঞ্চলে। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বা লোনাবন সুন্দরবনের অবস্থান এ অঞ্চলে। সাগর, সুন্দরবন, সৈকত, প্রবাল পাথর, দ্বীপ, অসংখ্য   নদী-খাল, জোয়ার-ভাটা,  নদীভাঙন, লবণাক্ততা, জলোচ্ছ¡াস, ঘূর্ণিঝড়, জলাভ‚মি, জলমগ্নতা ইত্যাদি বৈচিত্র্য উপক‚লীয় অঞ্চলকে দিয়েছে বৈচিত্র্যময় কৃষি পরিবেশ। সাগরের লোনাপানির জোয়ার ভাটায় প্লাবিত এ অঞ্চলের মাটি ও ভ‚মি লবণাক্ত বিধায় সেখানে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো বহু রকমের ফসল ও ফল চাষ করা যায় না। গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের নি¤œ অববাহিকায় অবস্থিত এ অঞ্চল নানা রকম প্রাকৃতি দুর্যোগে মোকাবিলা করে টিকে আছে ও ফসল উৎপাদনের নতুন সম্ভাবনাময় অঞ্চল হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। দেশের আগামী দিনের কৃষিতে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠেছে উপক‚লীয় অঞ্চল। এ অঞ্চলের উপযোগী কিছু ফলচাষের ক্ষেত্রেও সৃষ্টি হয়েছে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা। বিশেষ করে পেয়ারা, আমড়া, নারিকেল, সফেদা, কুল, জাম্বুরা, মাল্টা প্রভৃতি ফল অনেক চাষির ভাগ্য বদলে সহায়ক হয়েছে।
এ অঞ্চলের প্রায় সব বাড়িতে গেলেই দেখা যায় বাড়ির আঙিনাগুলোর অধিকাংশই চম্বল, শিরিষ, মেহগিনি, লম্বু ইত্যাদি বিভিন্ন কাঠের গাছে ভরা। এত ঘন করে গাছগুলো লাগানো যে বাড়িতে রোদ পড়া কঠিন। পিরোজপুর, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশালে এ প্রবণতা বেশি লক্ষ করা যায়। ফলগাছ বলতে এসব বসতবাড়িতে বিলাতি গাব, নারিকেল, পেয়ারা, সুপারি ইত্যাদি গাছের প্রাচুর্য দেখা যায়। অথচ উপক‚লীয় অঞ্চলের লবণাক্ততা সহ্য করে দামি ফল সফেদা ভালো হয়, সম্প্রতি মাল্টাও ভালো ফলন দিচ্ছে। তাই এ অঞ্চলের বসতবাড়ির জন্য উপযুক্ত ফলগাছ নির্বাচন করে আধুনিক নিয়মে চাষ করতে পারলে বহু রকমের ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। উপকূলীয় অঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো সুগম নয়। তাই ফলের মতো দ্রæত পচনশীল পণ্য সুদূর উত্তরবঙ্গের শিবগঞ্জ থেকে মনপুরার সাকুচিয়া বা স›দ্বীপের লোকদের খাওয়ানো সহজ নয়। এজন্য এ অঞ্চলে যেসব ফল ভালো হয়, স্থানীয়ভাবে সেসব ফলের পরিকল্পিত চাষের ওপর গুরুত্ব অবশ্যই দিতে হবে।
এ দেশের প্রায় ২৮% মানুষ উপক‚লীয় অঞ্চলে বসবাস করে। এসব মানুষদের অধিকাংশই দরিদ্র। পেশায় প্রধানত কৃষক, জেলে ও শ্রমিক। জমি থাকলেও সেসব জমিতে লবণাক্ততার প্রভাবে সারা বছর বহুমুখী ফসল চাষ করা কঠিন, বিশেষ করে ফল। প্রধান ফসল আমন ধান ছাড়া অন্য ফসল দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো হয় না। লবণাক্ততা ও নিচু জমির কারণে ফলচাষ করা কঠিন। তাই ফল উৎপাদনের প্রধান সুযোগ বা উৎস হলো এ অঞ্চলের বসতবাড়ির আঙিনাসমূহ। ফল উৎপাদন করে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর জন্য প্রথমে বসতবাড়ির বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পিতভাবে ফলচাষের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এরপর নিচু জমিগুলোর যেসব স্থান মাছের ঘের গড়ে উঠেছে, সেসব ঘেরের পাড়ে কুল, পেয়ারা, কলা, নারিকেল ইত্যাদি ফলের বাগান করে ফল উৎপাদন বাড়াতে হবে। এরপর কাঠের গাছ লাগানো হচ্ছে যেসব জমিতে- সেখানে কাঠের গাছের সাথে ফলের গাছ লাগিয়ে এগ্রো ফরেস্ট্রি করতে হবে। এমনকি মাঝারি নিচু ধানের জমিতেও বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে পিরামিড রেইজড বেড পদ্ধতিতে ক্ষেতের মাঝে মাঝে মাটির ঢিবি তৈরি করে সেখানে ফলগাছ লাগানোর উদ্যোগ নিতে হবে। নিচু জমি, যেখানে প্রতিনিয়ত জোয়ার ভাটা চলে সেখানে নালা কেটে তার মাটি পাশে স্ত‚প করে উঁচু বেড করে সর্জন পদ্ধতিতে ফলগাছের নার্সারি ও ফলবাগান করা যেতে পারে। তবে এসব উদ্যোগ নেয়ার আগে দেখতে হবে যে উপক‚লীয় অঞ্চলে আসলে কোন কোন ফল ভালো হয়।
উপক‚লীয় অঞ্চলের ফল
উপক‚লীয় অঞ্চলের মাটি ও জলবায়ুতে এখন অনেক ফলই ভালো হচ্ছে। ইতোমধ্যে কোনো কোনো ফলের বাণিজ্যিক চাষ হচ্ছে। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালি, লতাচাপালী, ভোলার চর ফ্যাশন ইত্যাদি স্থানে এখন প্রচুর পরিমাণে তরমুজের চাষ হচ্ছে। এ অঞ্চলের বসতবাড়িতে কি কি ফল ভালো হয় তা এসব অঞ্চলের বসতবাড়ি ও ঘেরগুলো ঘুরে একটু জরিপ চালালেই বুঝা যায়। এর জন্য খুব বেশি গবেষণার দরকার হয় না। তারপরও নতুন ফল বা নতুন জাতের ফল চাষ সম্প্রসারণে অবশ্যই স্থান উপযোগী বিশেষ গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। সম্প্রতি গবেষক মোঃ ওহিউল ইসলাম ও তাঁর সাথীরা ভোলা, বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার বসতবাড়ি সমূহের ওপর এক গবেষণা কর্মসম্পাদন করে তার চমৎকার ফলাফল তুলে ধরেছেন  তাদের গবেষণাপত্রে। তারা এ তিনটি জেলার বসতবাড়িসমূহে মোট ৩২ প্রজাতির ফলগাছ দেখতে পেয়েছেন। এসব ফলগাছসমূহ হলো নারিকেল,   সুপারি, বিলাতিগাব, আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, জাম্বুরা, তাল, আমড়া, তেঁতুল, বরই/কুল, জামরুল, কামরাঙা, লেবু, খেজুর, কালোজাম, ডেউয়া, চালতা, লিচু, জলপাই, আমলকী, আতা, কাউফল, বেল, সফেদা ডালিম, শরিফা, গাব, কমলা, মাল্টা, কদবেল ও গোলাপজাম। দ্বীপসমূহের বসতবাড়িতে ফলগাছ কম রয়েছে। যেমন স›দ্বীপের বসতবাড়িসমূহে ১৯ প্রজাতির ফলগাছ রয়েছে। দ্বীপসমূহে নারিকেলগাছের প্রাধান্য বেশি। এ তালিকার বাইরেও কিছু ফল উপক‚লীয় অঞ্চলের বসতবাড়িসমূহে চাষ হচ্ছে বা চাষ করা যেতে পারে, যেমন- পেঁপে, স্ট্রবেরি, কলা, অরবরই বা নোয়াল, বিলিম্বি, জংলিবাদাম, পানিফল, আমরুল, বৈঁচি, লুকলুকি, বাঙ্গি, মরমা ইত্যাদি।  ঘেরের পাড়ে কুল, কলা ও আ¤্রপালি আম চাষে বেশ সাফল্য দেখা যাচ্ছে। বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরার ঘেরগুলোর পাড়ে নারিকেল চাষ করে সফলতা পাওয়া গেছে। কক্সবাজার, বাগেরহাট, নোয়াখালী, বাগেরহাটে সুপারি খুব ভালো হচ্ছে। পিরোজপুর, বরিশাল ও ঝালকাঠিতে বিলাতি গাব ভালো হচ্ছে। খুলনায় নোয়াল ও বিলিম্বি চাষে ভালো ফল দেখা গেছে। পিরোজপুরে মাল্টার বাণিজ্যিক বাগান গড়ে উঠেছে। সাতক্ষীরায় বাণিজ্যিকভাবে এখন পানিফলের চাষ হচ্ছে।
এ অঞ্চলে সুন্দরবনের কিছু গাছ আছে যেগুলোর ফল খাওয়া যায়। এমনকি বনজ সেসব ফল থেকে আচার তৈরি করা যায়।  বিশেষ করে কেওড়া ও গোলপাতা গাছ। এ দুটি গাছের ফল খাওয়া যায়। সুন্দরবনের আর একটি বুনোফল মামাকলা। এ গাছও বসতবাড়ির জঙ্গলে হয়। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এটি একটি জনপ্রিয় ফল।
বিস্ময়কর হলেও সত্য ৯৭.৩৩% বাড়িতে গবেষকরা আমগাছ দেখতে পেয়েছেন। উপক‚লীয় অঞ্চল আমচাষের জন্য উপযোগী নয়, এমন ধারণাই এতকাল ছিল। বিশেষ করে জলমগ্নতা, জোয়ারভাটার প্লাবন, লবণাক্ততা, আমের মুকুল আসার সময় গরম আবহাওয়া, অধিক ঝড়বাতাস, আমের পোকা ইত্যাদি কারণে উপক‚লীয় অঞ্চলে অতীতে আম উৎপাদন ভালো হতো না। কিন্তু এখন কিছু কিছু জাতের আম বিশেষ প্রযুক্তি মেনে চাষ করে সাফল্য পাওয়া গেছে। সাতক্ষীরার আম এখন ইউরোপের বাজারে রপ্তানি হচ্ছে। সেখানকার গোবিন্দভোগ, বোম্বাই, আ¤্রপালি, লতাবোম্বাই, নীলাম্বরী ইত্যাদি জাতগুলো বেশ ভালো ফলন দিচ্ছে। উপক‚লের বসতবাড়িসমূহে ইতোমধ্যে আ¤্রপালি জাতটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ও ভালো ফল দিচ্ছে। বারি আম ৪ জাতটিও এ অঞ্চলে সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। প্রায় ৯০% ও ৯২% বাড়িতে যথাক্রমে জাম্বুরা ও পেয়ারাগাছ রয়েছে, আমড়া আছে ৭২% বাড়িতে। এ তিনটি জেলার ৪২% বাড়িতে লিচুগাছ থাকলেও ফল ভালো হয় না। থাই পেয়ারা চাষের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। বিশেষ করে পুকুরপাড়ে থাই পেয়ারা, পেঁপে, ডোয়ার্ফ নারিকেল ইত্যাদি চাষ করা যায়। সম্ভাবনাময় বাণিজ্যিক ফল সফেদা আছে মাত্র ৩০% ও কদবেল আছে ১২% বাড়িতে। এ দুটি ফলকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বসতবাড়িতে চাষের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি বিভাগের গবেষকবৃন্দ লবণাক্ততা সইতে পারে পেয়ারা, কাঁঠাল, স্যাপোডিলা বা সফেদা, কুল, জাম্বুরা- এই পাঁচটি ফল নিয়ে গবেষণা করে এসব ফলের কিছু নতুন জাত উদ্ভাবনের পথে রয়েছেন। লবণাক্ততা শুধু এসব ফল চাষের অন্তরায় নয়, এসব ফলের স্বাদও লবণাক্ততার প্রভাবে কমে যায়। তারা আশা করছেন, হয়তো আগামী তিন বছরের মধ্যে উপক‚লীয় অঞ্চলের কৃষকরা এসব নতুন জাতের ফল চাষ শুরু করতে পারবেন। সেসব ফলের স্বাদও যাতে ভালো হয় সেজন্য তাঁরা গবেষণায় সে বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন।
উপক‚লীয় অঞ্চলে ফল চাষ সম্প্রসারণে করণীয়
*উপক‚লীয় অঞ্চলে ফল উৎপাদনে বসতবাড়ির আঙিনাকে গুরুত্ব বেশি দিতে হবে। প্রতিটি বসতবাড়ির বাগান থেকে শুধু সুপারি নয়, বারো মাস পাওয়া যায় এমন ফলগাছ নির্বাচন করতে হবে।
*যে ফলের যে জাত এ অঞ্চলের বসতবাড়িতে ভালো হয় সেসব জাত নির্বাচন করতে হবে।
*পরীক্ষামূলকভাবে কিছু নতুন ফল নিয়ে এ অঞ্চলে সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে গবেষণা করা যেতে পারে। যেমন ড্রাগন ফল।
*এ অঞ্চলের বসতবাড়িতে কাঠ ও ফলগাছের বর্তমান গড় অনুপাত ৫ঃ১। অর্থাৎ এখনো এ অঞ্চলের মানুষ ফলের চেয়ে কাঠের গাছ লাগাতেই বেশি আগ্রহী। অনেকেরই ধারণা, কাঠের গাছ ঝড়-ঝাপটা থেকে বাড়িকে রক্ষা করবে। এ ধারণা থেকে তাদের বের করে আনতে হবে ও ফলগাছ রোপণের বিশেষ কর্মসূচি নিতে হবে। প্রয়োজনে ভর্তুকি বা প্রণোদনা দিয়ে হলেও ফলগাছ লাগানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
*বহুস্তরী ফলগাছ মডেল বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
*এগ্রো ফরেস্ট্রি বা ফসলের জমিতে ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি পরিকল্পিতভাবে কিছু ফলগাছ লাগাতে হবে।
*ফলচাষের কিছু বিশেষ কৌশলের প্রবর্তন বা সম্প্রসারণে জোর দিতে হবে। বিশেষ করে নিচু জমিতে সর্জন পদ্ধতিতে ফল চাষ, ডোয়ার্ফ হাইব্রিড নারিকেল চাষ, পিরামিড বেডে ফল চাষ, ঘেরের পাড়ে ফল চাষ, রাস্তার ধারে নারিকেল, আমলকী, হরীতকী, বহেড়া ইত্যাদি ফল চাষ করার কথা ভাবতে হবে।
*এ অঞ্চলের কোনো বসতবাড়ির ফলগাছে সাধারণত কোনো পরিচর্যা করা হয় না, সার- সেচ দেয়া হয় না। বসতবাড়িতে বিদ্যমান ফল গাছসমূহের সঠিক পরিচর্যা নিশ্চিত করতে হবে।
*কিছু কিছু ফলকে বাণিজ্যিক গুরুত্ব দিয়ে চাষের ব্যবস্থা নিতে হবে। যেমন- কুল, সফেদা, পেয়ারা, আমড়া, নারিকেল, মাল্টা, আম ইত্যাদি। সম্ভব হলে ছোট আকারে এসব ফলের প্রদর্শনী স্থাপন করে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
*উপকূলীয় অঞ্চলে ফলগাছে ও ফলে উত্তরাঞ্চলের চেয়ে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। সেজন্য কৃষক প্রশিক্ষণসহ সেসব বালাই ব্যবস্থাপনার কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
    উপক‚লীয় অঞ্চলে ফলচাষ সম্প্রসারণে স্থানীয়ভাবে মানসম্মত চারাকলমের উৎপাদন করা দরকার। ফলের চারা কলম উৎপাদনের জন্য এ অঞ্চলে কিছু উপজেলায় ইতোমধ্যে নার্সারি ব্যবসা রীতিমতো শিল্পে রূপ নিয়েছে (স্বরূপকাঠি দৃষ্টান্ত)। তবে সেখানে মানের বিষয়টি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে নার্সারি কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া যেতে পারে। সরকারি হর্টিকালচার সেন্টারসমূহে মাতৃবাগান করে সেখান থেকে উন্নত জাতের সায়ন বা কলমদ্রব্য স্থানীয় নার্সারি কর্মীদের কাছে সরবরাহ করা যেতে পারে।
ি    ফলভিত্তিক শিল্প স্থাপন করে এ অঞ্চলের মানুষের আয় বাড়ানো সম্ভব। বিশেষ করে নারিকেলভিত্তিক বহুমুখী শিল্প (পিরোজপুরের নেছারাবাদের দৃষ্টান্ত), পেয়ারার  জ্যাম-জেলি, অরবরই, বরই, কেওড়া, কাউফল ইত্যাদির আচার তৈরির কারখানা স্থাপন করা যায়।
সর্বোপরি উপক‚লীয় অঞ্চলে চাষের উপযোগী ফলগাছ বাছাই ও লবণাক্ততাসহিষ্ণু ফলের জাত উদ্ভাবনে গবেষণা কার্যক্রম করতে হবে সুপরিকল্পিতভাবে। শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর আরও অনেক দেশেই আমাদের দেশের মতো উপক‚লীয় অঞ্চল রয়েছে। সমভাবাপন্ন আবহাওয়ায় সেসব দেশে উপক‚লীয় অঞ্চলে ফলচাষের অগ্রসরমান অভিজ্ঞতাকেও কাজে লাগানো যেতে পারে। য়

উপপরিচালক (এলআর), ডিএই, খামারবাড়ি, ঢাকা। ঔষধি গাছ (১ম ও ২য় খÐ), ডাল, তেল ও মসলা ফসল চাষ, ফলের রোগ, ধানের রোগ, শাকসবজির পোকামাকড় ইত্যাদি বইয়ের লেখক। মোবাইল : ০১৭১৮২০৯১০৭ মোবাইল :  kbdmrityun@yahoo.com


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon